শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

বিবাহিত ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

স্বদেশ ডেস্ক:

বিবাহিত ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিবাহিত ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ ও ছাত্র-ছাত্রীদের বাসে পৃথকভাবে বসার নির্দেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাগজে খবরটা দেখেছি, এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে জেনে খুব আশ্চর্য হয়েছি। ছাত্রীরা বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক।’

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি এ যুগে বিশ্ববিদ্যালয় বাসে ছাত্রীরা এক জায়গায় বসবে, ছাত্ররা আরেক জায়গায় বসবে- সেটিও তো অবাস্তব একটি সিদ্ধান্ত। এ ধরণের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ কীভাবে নেয় এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি এটা শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনব। কারণ এর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ শিক্ষামন্ত্রী।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিনে নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন, ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করেছেন, সেই চরম প্রতিহিংসা ও জিঘাংসাপরায়ণ বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন।’

বিএনপি নেতারা বলছেন, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশ যেতে বাধা দিচ্ছে- এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কোনোভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। আর তারা যদি তা মনে করে তাহলে তো আদালতে যেতে পারে। আর বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার কি পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা, যে তার পুত্রবিয়োগে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ির দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি দরজা খোলেননি।’

তিনি বলেন, ‘তার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে নাই। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন।’

হাছান বলেন, ‘শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার নির্দেশে এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা হয়েছিল। পরে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়, সেই এজেন্টের এখন বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়ার আমলে নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির কাছ থেকে কিছু কম্পিউটার কেনার চুক্তি হয়েছিলি, সেই কোম্পানির নাম কেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার কন্যা ‘‘টিউলিপ” নামের সঙ্গে মিল, সে জন্য সেই চুক্তি তারা বাতিল করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, জিয়াউর রহমানের পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়াও তাদেরকে আবার পুনর্বাসিত করেছেন।’

বিএনপি কেন নির্বাচনে আসতে চায় না, সে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচন চায় না এবং এই দুই শীর্ষ নেতা আর কাউকে নেতা বানানোর জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে দিতেও চায় না।’

এ সময় কোয়াব প্রেসিডেন্ট এ বি এম সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজামুদ্দীন মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আলম শামীম ও লুৎফর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ